ভারত বিরোধিতা না করলে বাংলাদেশ ১৯৪৭ সালেই স্বাধীনতা অর্জন করতো।

ভারত বিরোধিতা না করলে বাংলাদেশ ১৯৪৭ সালেই স্বাধীনতা অর্জন করতো।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বেঙ্গল প্রদেশ পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে হিন্দু মহাসভা ও কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে নতুন করে বঙ্গভঙ্গের দাবি ওঠে। অন্যদিকে বাংলাদেশকে অখণ্ড রাখার চেষ্টা চালায় মুসলমানরা। অখণ্ড বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অংশ বানানো যাবে না-- বিবেচনা করে বাংলার মুসলমান নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র স্বাধীন অখণ্ড বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। মুসলিম লীগ হাই কমান্ড তাতে সম্মত হলেও গান্ধী-নেহেরু-প্যাটেলের কংগ্রেস তার বিরোধিতা করে এবং বঙ্গভঙ্গের পক্ষে অনমনীয় রায় দেয়।

তাদের প্রস্তাব ছিলো, অখণ্ড ভারতীয় জাতীয়তার ভিত্তিতে দিল্লীর অধীনে অখণ্ড বঙ্গপ্রদেশে তারা আস্থাশীল; কিন্তু অখণ্ড বাংলাদেশ কিংবা অখণ্ড বাঙ্গালির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে তারা বিশ্বাস করেনা। অর্থাৎ বঙ্গভঙ্গের আলোকে আসাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের এলাকা নিয়ে বঙ্গ প্রদেশ হবে এবং ভারতের অধিনে থাকবে এটাই ছিলো গান্ধীর প্রস্তাবনা। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানরা প্রস্তাব করে বঙ্গভঙ্গের নির্ধারিত সীমানা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাস্ট্রের। কিন্তু সেটা তখন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মেনে নেয়া হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন অধরা রয়ে যায়। বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের সাথে থাকার ব্যাপারেই রায় দেয়। কারন বাংলার মুসলমানদের আশঙ্কা ছিলো এখনই বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা দিলে কিছুদিন পরে ভারত বাংলাদেশকে দখল করে নিবে। যেমনি ভাবে দখল করে নিয়েছিলো হায়দারাবাদ এবং সিকিমকে।

মন্তব্য